শিরোনাম :
ম্যাজিস্ট্রেট স্পট ভিজিট করবেন তাই রাতারাতি দোকানের সাইনবোর্ডের নাম পরিবর্তন!  ওমান রাজ বংশের ২৮০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক 🌿   রাজধানীতে ছাদ কৃষির গুরুত্ব   🌿 নিরাপত্তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান ওমান শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওমান দুর্ঘটনায় নিহতরা পাবেন ক্ষতিপূরণ : আশ্বাস দূতাবাসের কৃষকের সাথী ফসল : লাভজনক প্রযুক্তি  ওমানে দেওয়াল ধ্বসে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচীতে লালমোহন থেকে যাচ্ছে ২ শতাধিক শিক্ষক বোরহানউদ্দিনে জেলেদের ভিজিএফ’র তালিকা প্রকাশ ভোলায় টাইফয়েড টিকা পাবে ৬ লাখ ৭৮ হাজার শিশু

আন্তর্জাতিক

রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিনিধি::
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল বিভাগীয় কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আকতার হোসেন সেন্টু তার নিজ নির্বাচনী আসনের উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন বরিশাল মহানগর জাসাস এর সভাপতি মীর আদনান তুহিন, বরিশাল জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব সফিউল আলম সফরুল সহ স্থানীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সোমবার রাতে হারতা বাজারে উত্তর পার নিউ মার্কেট সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রাস্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশদ আলোচনা করেন বরিশাল-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী লায়ন আকতার হোসেন সেন্টু।

উজিরপুরে বিভিন্ন পুজা মন্ডপ পরিদর্শনে লায়ন আকতার হোসেন সেন্টু

নিজস্ব প্রতিনিধি,ভোলা::
ভোলা-৪ (চরফ্যাশন ও মনপুরা) আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে। কোনো ছোটখাটো বিষয় নিয়ে নির্বাচনকে ব্যাহত হতে দেওয়া যাবে না। কিছু রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে পিআর নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে, বাংলাদেশের মানুষ পিআর গ্রহণ করবে না। তারাতাদের প্রিয় ও কাক্সিক্ষত প্রার্থীকে বেছে নিতে চায়।

‎ চরফ্যাশন উপজেলা সদরে ৩১ দফা সংস্কারের লিফলেট বিতরণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

‎‎নাজিম উদ্দীন আলম আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন, নেতাকর্মীরা স্ব-স্ব এলাকায় গিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গা উৎসব সুন্দরভাবে উদযাপনে সহযোগিতা করবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সকল নেতাকর্মী উৎসবে সম্পৃক্ততা দেখাবেন।

‎উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম মিন্টিজ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আশরাফুর রহমান দিপু ফরাজি, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম দুলাল, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মীর আবুল কালাম আজাদ এবং উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি রিয়াদ সিকদার।

‎এছাড়াও চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপি এবং ২১টি ইউনিয়ন থেকে আগত প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে জনগণের আস্থা নেই ——নাজিম উদ্দিন আলম

অনুসন্ধান ডেস্ক ::

জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে পট পরিবর্তনের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় সমাবেশে প্রকাশ্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন আগামী নির্বাচন হবে খুবই কঠিন। নির্বাচনে আপাতদৃষ্টিতে বিএনপি ক্ষমতায় চলে এসেছে এমনটা ভাবলে দলের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। এ জন্য দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি এবং নানা রকম বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন তারেক রহমান।

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ইমেজ যাতে কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন না হয় সে জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন তারেক রহমান। কিন্তু তার নির্দেশনা উপেক্ষা করে সারা বাংলাদেশে বিএনপির একটি অংশ বিতর্কিত কর্মকা-ে নিজেদের জড়িয়েছেন। স্থানীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রভাবশালী এবং কিছু কেন্দ্রীয় নেতার শেল্টারে দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি এবং নানা রকম বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ায় ইতোমধ্যে দলের ইমেজ চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। এ কারণে এসব নেতার তথ্য সংগ্রহ করছে বিএনপির একাধিক বিশেষ টিম। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোনোভাবেই বিতর্কিত কাউকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেবেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেছেন, যারা তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে দলের ইমেজ ক্ষুণœ করছেন তাদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। তারা এলাকায় কিংবা দলে যত বড় প্রভাবশালীই হোন না কেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের কোনোভাবেই মনোনয়ন দেবেন না তারেক রহমান।

বিএনপির দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য মতে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত নানা অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের তিন হাজার ২২৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মূল দল বিএনপির নেতাকর্মী রয়েছেন এক হাজার ৮০০ জন। তাদের মধ্যে ৮০০ জনকে বহিষ্কার, ৫০ জনের পদ স্থগিত, ৭০০ জনকে কারণ দর্শানো নোটিস, ১০০ জনকে সতর্ক এবং ১৫০ জনকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের নোটিস দেয়া হয়েছে।

একইভাবে ছাত্রদলের প্রায় ৪০০ জন বহিষ্কার ও ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে কারণ দর্শানো নোটিস, স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্তত ১০০ নেতাকর্মী বহিষ্কার ও ১৫০ জন কারণ দর্শানো নোটিস পেয়েছেন। যুবদলেরও দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়া এবং মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বর্তমান অবস্থানও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যাকে মনোনয়ন দিলে সাধারণ ভোটাররা খুশি হবেন, এমন প্রার্থীর হাতেই এবার নির্বাচনের চূড়ান্ত টিকিট তুলে দেবে বিএনপি। এক্ষেত্রে কিছু মৌলিক নীতি অনুসরণ করা হবে। এ জন্য দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে নীতি হিসেবে তিনটি যোগ্যতা অন্যতম মানদ- হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই-সংগ্রামে দেশ ও দলের জন্য যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যিনি সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং এলাকার মানুষের কাছে একজন ভালো মানুষ হিসেবে সুপরিচিত এবং ভোটের রাজনীতিতে যিনি তার এলাকায় বেশি জনপ্রিয়। দলটির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এমন মাপকাঠির কথা নিশ্চিত করেছেন।

এ ছাড়া জানা যায়, এবারের মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে তরুণ প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পেতে পারেন। আবার দলের বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে নবীন-প্রবীণের চমৎকার সমন্বয় ঘটিয়ে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। তবে কোনোভাবেই চাঁদাবাজ এবং বিতর্কিত নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না।
৫ আগস্ট দেশে পটপরিবর্তনের পর থেকেই নির্বাচনমুখী প্রস্তুতি শুরু করেন দলটির হাইকমান্ড। এরই মধ্যে অত্যন্ত গোপনে সারাদেশে একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ের জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। সামনে আরও কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে পৃথকভাবে এ জরিপ পরিচালনা করা হবে। গত মার্চে আরেক অরাজনৈতিক বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে সারাদেশে লক্ষাধিক মানুষের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করে বিএনপি।
জরিপের তথ্য মতে, ইতোমধ্যে সাংগঠনিক শাস্তি পুনর্বিবেচনা বা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায় দেড় হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০০ আবেদন আছে যারা উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তাদের অনেকের ক্ষেত্রে দলের স্থানীয় নেতারাও লিখিতভাবে কেন্দ্রকে জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত চালানো তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়া নেতাকর্মীর হার ১৩ শতাংশের মতো।

এসব জরিপের বাইরে তারেক রহমানের বিশ্বস্তদের দিয়ে গঠন করা হয়েছে একটি নির্বাচনী ডাটাবেজ সেল।
তথ্য মতে, বিগত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশীর বিষয়ে তথ্যভান্ডার তৈরি করছেন। ওই তথ্যের মধ্যে প্রত্যেক মনোনয়ন প্রত্যাশীর আমলনামা, সামাজিক অবস্থান ও মর্যাদা, জনসমর্থন, নেতাকর্মীদের সমর্থন ছাড়াও প্রতিপক্ষ সম্ভ্যাব্য প্রার্থীর অবস্থান, জনসমর্থন, পরিচিতি এবং তার দুর্বল দিকগুলো উল্লেখ করা হচ্ছে। অন্যদিকে জনপ্রিয়তায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকা বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর দুর্বল দিকগুলো উল্লেখসহ সেগুলো কিভাবে উত্তরণ ঘটানো যায় তার সুপারিশ করা হয়েছে সেখানে। এর মধ্যে সাংগঠনিক দুর্বলতা, দলীয় কোন্দলকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা ৫ হাজারের মতো বহিষ্কার করেছি। প্রয়োজনে আরও ৫ হাজার বহিষ্কার করব। তার পরেও জিয়াউর রহমানের আদর্শেই বিএনপি চলবে। এ দলে আমরা আর কোনো চাঁদাবাজ, বিতর্কিত লোকদের স্থান দেব না। সরাসরি চাঁদাবাজি করেছেন কিংবা চাঁদাবাজদের প্রমোট করেছেন এমন লোক যত শক্তিশালীই হোক আমরা কোনোভাবেই আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন দেব না।
তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বিএনপি তার স্বচ্ছ ইমেজ ধরে রাখার স্বার্থে অভিযুক্তদের কোনো ছাড় দেবে না। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শূন্য সহনশীলতা নীতিতে অটল বিএনপি। তবে যারা নিরপরাধ প্রমাণিত হবেন তাদের বিরুদ্ধে নেয়া সাংগঠনিক ব্যবস্থা তুলে নেয়া হবে।
আর যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তারা আগামী নির্বাচনে দলীয় কোনো টিকিট পাবেন না। সকল জরিপের তথ্য হাতে আসার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগের বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম জনকণ্ঠকে বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা হলো, দলের ইমেজ ক্ষুণ্ন করেছেন এমন নেতাদের তালিকা করতে। তাদের আগামী নির্বাচনে কোনোভাবেই দলের টিকিট দেওয়া হবে না ।

বিএনপি সাধারণ মানুষের ভালোবাসার দল। শহীদ জিয়ার আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় বিএনপি। চাঁদাবজি, দখল এবং বিতর্কিত কর্মকা-কে বিএনপি প্রশ্রয় দেবে না। এসব কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিএনপি প্রমোট করবে না।
শতাধিক ক্লিন ইমেজের প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল ॥ বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির ক্লিন ইমেজের শতাধিক নেতাকে নির্বাচনি প্রস্তুতির জন্য গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে যদি কেউ বিতর্কিত কর্মকা-ে নিজেকে জড়ান তা হলে তাদের ক্ষেত্রেও কঠোর অবস্থানে যাবে দল। মানে তারা দলীয় মনোনয়ন পাবেন না।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভিডিও কলে অংশ নিয়ে যার যার এলাকায় কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষ হলে পর্যায়ক্রমে ৩০০ প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে। একই সঙ্গে সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন। সবাইকে ভোটের কারচুপি, জালিয়াতি, কেন্দ্র দখল, ফল ছিনতাইসহ সব ধরনের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকমান্ড। একই সঙ্গে নিজেদের জনগণের কাছে আরও বেশি যাওয়ার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন।

তাদের তারেক রহমান বলেছেন, জনগণই হচ্ছে বিএনপির শক্তি। সুতরাং জনগণের বিপদ আপদে কাছে থেকে তাদের সমর্থন আদায় করতে হবে। তারেক রহমান দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি দেওয়া নির্দেশনায় বলেছেন, সন্ত্রাসী-অপরাধীদের কোনো দল নেই। এদের কাউকেই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এরা যে দলেরই হোক তাদের ধরে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।

পাশাপাশি দল ও অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের ইউনিট-কমিটির নেতাদের কঠোরতার সঙ্গে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, বিএনপি শতভাগ একটি গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিজমে বিশ্বাস করে না। এ ক্ষেত্রে দল ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের কমিটির নেতা-কর্মীদের কর্মকান্ডের দায় সংশ্লিষ্ট কমিটির নেতাদের নিতে হবে।

তরুণ নেতাদের প্রাধান্য:নির্বাচনী সেলের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন জনকণ্ঠকে জানান, এবারের নির্বাচনে তারা অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের একটু বেশি প্রাধান্য দেয়া হতে পারে। যারা বিগত দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন, এলাকায় পরিচ্ছন্ন অবস্থান রয়েছে, বিগত দিনে মামলা-হামলায় নির্যাতিত হয়েছেন, নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন, দলের প্রতি শতভাগ আনুগত্য ছিলেন তারা এবারের মনোনয়ন নির্বাচনে অনেক বেশি এগিয়ে থাকবেন।

ক্ষমতায় গেলেও বিতর্কিত কর্মকান্ড করলে দমন: বিএনপি যদি ক্ষমতায় যেতে পারে সেক্ষেত্রে যারা দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে দলটি। চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব কিংবা দেশ ও জনগণের জন্য ক্ষতিকারক এমন কোনো কাজ করলে যত বড় নেতা বা প্রভাবশালীই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি। প্রয়োজনে তাদেরকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, বিএনপি চায় এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে জনগণের শাসন থাকবে। কেউ কারও ওপর জুলুম করবে না, অন্যায় করবে না। বিএনপি যদি ক্ষমতায় যেতে পারে এবং দলের কোনো নেতা বিতর্কিত কাজ করেন তা হলে তাদেরও কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

বিতর্কিতদের চান না জেলা নেতারাও: পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা তৃণমূলে যখনই কোনো অনিয়ম, বিতর্কিত কর্মকা-ের অভিযোগ পাই তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। ইতোমধ্যে অসংখ্য নেতাকর্মীকে শোকজ এবং বহিষ্কার করেছি। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা চাই সারা বাংলাদেশে পরিচ্ছন্ন এবং ভালো ইমেজের প্রার্থীরা মনোনয়ন পাক। ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দিলে আশা করি বিএনপি বিপুল ভোটের ব্যবধানে ক্ষমতায় যাবে।
ভোলা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন সৎ এবং ক্লিন ইমেজের রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। আমরা তার আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করি। আমরা আশা করি ক্লিন ইমেজের নেতারাই আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবেন। এটি তৃণমূলের সকল নেতাকর্মীর প্রাণের দাবি।

বিএনপি’র মনোনয়নে বাদ পড়বেন যেসব মহারথীরা!

 

নিজস্ব প্রতিনিধি,ভোলা::
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মাদ রেজাউল করিম বলেছেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হলে দেশে ফ্যাসিস্ট তৈরি হবে। পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ একটা পরিবর্তন চায়। দেশের অধিকাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। একটা জরিপে দেশের ৭০% লোক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় বলে জানা গেছে। বিগত ৫৩ বছর পরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ গঠনের যে সুযোগ আমরা পেয়েছি, তা কাজে লাগাতে হবে। আর না হয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা কী দিয়ে যাব।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে তিন দফার দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভোলা জেলার আয়োজনে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি পিআর পধ্বতির উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হবে। চাঁদাবাজ, জুলুমবাজ, নির্যাতনকারী তৈরি হবে। আপনারা আর কত মায়ের বুক খালি করতে চান? পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে আবারও অনেক মায়ের বুক খালি হবে। এজন্য পিআর পদ্ধতি ছাড়া আর কোনো নির্বাচন নয়।

তিনি বলেন, আপনাদের এত ভয় কেন? পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে এই দেশের জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পাবে। সব ভোটারের মূল্যায়ন হবে। আপনারা চুরি করবেন বলেই পিআর পদ্ধতি মেনে নিতে চান না। পিআর পদ্ধতি মেনে নেওয়া ছাড়া এই জাতি আর কোনো নির্বাচন করতে দেবে না। বাংলাদেশের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। আপনাদের চালাকি এ জাতি বুঝে গেছে।

মুফতি রেজাউল করিম আরও বলেন, চব্বিশের আন্দোলনে বাংলাদেশ মুক্তির পর এক বছর অতিবাহিত হলেও যেই দাবিতে ফ্যাসিস্টমুক্ত করা হয়েছে তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। যার কারণে ৩ দফা দাবি বাস্তবায়নে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে এবং জুলাই গণহত্যার বিচার করতে হবে। আজ এ দাবিগুলো ৭০ ভাগ ভোটারের।

তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের শাসন দেখেছি, বিএনপির শাসন দেখেছি, জাতীয় পার্টির শাসনও দেখেছি। এ দেশের মানুষ আর কোনো আয়না ঘর দেখতে চায় না, নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা, নির্যাতন এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচার হোক তাও দেখতে চায় না।

 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজির সভাপতিত্বে এবং ভোলা জেলা উত্তর ও দক্ষিণের সেক্রেটারি মাওলানা তরিকুল ইসলাম ও মাওলানা আব্বাস উদ্দিনের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মুফতি এসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শূরার সদস্য মাওলানা মো. কাজী মামুনুর রশিদ খান।

প্রধান অতিথি সমাবেশে ভোলার ৪টি সংসদীয় আসনের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। প্রার্থীরা হলেন, ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুর রহমান বিন মোস্তফা, ভোলা-২ আসনের প্রার্থী মুফতি রেজাউল করিম, ভোলা-৩ আসনের প্রার্থী মুফতি মোসলে উদ্দিন, ভোলা-৪ আসনের প্রার্থী প্রফেসর কামাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সুরার সদস্য আলাউদ্দিন তালুকদার ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলার দক্ষিণের সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ নুরুদ্দিনসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হলে দেশে ফ্যাসিস্ট তৈরি হবে——— মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম

অন্যান্য সংবাদ

ঢাকা

চট্টগ্রাম

অনুসন্ধান ডেস্ক :: 
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বৃহস্পতিবার (২৮ আগষ্ট) জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার চন্দ্রনাথ ধামের ভৈরব মন্দির ও ব্যাসকুন্ড পরিদর্শন করেন। এ সময় সাথে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সান্তু বিপিএম (বার)।
পরিদর্শনকালে উল্লিখিত এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। সামগ্রিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক মন্তব্য করেন, “চট্টগ্রাম সমগ্র বাংলাদেশে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির এক মিলনমেলা। কোন প্রকার মিথ্যা প্রচারণা বা উস্কানিতে এই সম্প্রীতি কেউ যেন বিনষ্ট না করতে পারে সে ব্যাপারে প্রশাসন, পুলিশ, গণমাধ্যমকর্মী এবং সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। আমরা চাই ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এখানে একটি সুন্দর ও পর্যটকবান্ধব পরিবেশ বজায় থাকুক।”
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারবৃন্দ, সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং মাঠ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক’র সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ ধাম পরিদর্শন

অনুসন্ধান ডেস্ক ::

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় উল্টো পথে আসা হানিফ পরিবহনের সেই বাসটিকে জব্দ করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার খাদঘর মানামা হোটেলের সামনের মাঠ থেকে বাসটি জব্দ করা হয়।

ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ওসি জানান, শুক্রবার দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাসটিকে শনাক্ত করা হয়। সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছিল, হানিফ পরিবহনের ঢাকা মেট্টো-ব-১২-২১৯৭ নম্বরের বাসটি উল্টো পথে চলাচল করার কারণেই সিমেন্ট বোঝাই কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারের ওপর উল্টে পড়ে, তারপর ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাসটি জব্দ হলেও চালক বা হেলপার কাউকে পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর বাসটিকে খাদঘর এলাকায় রেখে আত্মগোপনে চলে যান চালক এবং হেলপার। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ইউটার্নে সিমেন্টবোঝাই একটি কাভার্ড ভ্যান প্রাইভেট কারের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের চারজন নিহত হন।

নিহতরা হলেন, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। প্রাইভেট কারটি চালাচ্ছিলেন বড় ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল হাশেম। একই দুর্ঘটনায় লরির নিচে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রীও আহত হন। আহতরা ঢাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় কাভার্ড ভ্যান ও হানিফ পরিবহন বাসের অজ্ঞাতনামা চালকদের আসামি করা হয়েছে।

কুমিল্লার সড়ক দুর্ঘটনায় হানিফ পরিবহনের বাস জব্দ 

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
কক্সবাজারের চকরিয়া থানা হাজতে যুবক দুর্জয় চৌধুরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এবার ওসিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন বলেন, এর আগে এ ঘটনায় থানার তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছিল। আজ শনিবার ওসি শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “তৌহিদুল আনোয়ারকে চকরিয়া থানার নতুন ওসির দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি শফিকুল ইসলামকে কক্সবাজার পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ করা হয়েছে।”
শুক্রবার সকালে চকরিয়া থানা হাজত থেকে দুর্জয় চৌধুরী নামে এক যুবককে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরিবার হত্যার অভিযোগ করলেও পুলিশের দাবি, দুর্জয় আত্মহত্যা করেছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণের ক্ষোভের মধ্যে শুক্রবার দুপুরে থানার এএসআই মোহাম্মদ হানিফ মিয়া, কনস্টেবল মহি উদ্দিন ও ইশরাক হোসেনকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
দুর্জয় চাকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হিন্দু পাড়ার কমল চৌধুরীর ছেলে। চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটরের দায়িত্বে ছিলেন দুর্জয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে দুর্জয়ের বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক তাকে থানায় হস্তান্তর করেন। তার বিরুদ্ধে ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মামলা করেন। ভোরে চকরিয়া থানা হাজতের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে পুলিশের দাবি করা আত্মহত্যাকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন দুর্জয় চৌধুরীর বাবা কমল চৌধুরী।
শনিবার সকালে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে কমল চৌধুরী বলেন, “কোনো মামলা বা ওয়ারেন্ট ছাড়া আমার ছেলেকে থানায় রাখা হয়েছে।”
তিনি এ ঘটনার জন্য স্কুলের দুজন শিক্ষককে দায়ী করে বলেন, “আমার ছেলের ব্যাগ ও ল্যাপটপ খুঁজে পাচ্ছি না। হয়তো ল্যাপটপে থাকা কোনো তথ্যের কারণেই প্রাণ হারিয়েছে দুর্জয়।”

চকরিয়া থানা হাজতে দুর্জয় চৌধুরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ওসি প্রত্যাহার : দুর্জয়ের ল্যাপটব উধাও

ডেস্ক রিপোর্ট ::
কুমিল্লায় প্রাইভেট কারের ওপর সিমেন্ট বোঝাই কাভার্ড ভ্যান উল্টে একই পরিবারের ৪ জন নিহতের পর এবার বিপজ্জনক সেই ইউটার্ন বন্ধ হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড সংলগ্ন উত্তর রামপুর এলাকার ইউটার্নটি বন্ধ করার প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। শনিবার (২৩ আগষ্ট) বেলা ১১টার দিকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ২৩ বীরের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহমুদুল হাসানসহ হাইওয়ে পুলিশ ও সওজ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানায়।
সওজ কুমিল্লার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আদনান ইবনে হাসান সমকালকে বলেন, এ ইউটার্নটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। আজ সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশসহ আমরা আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রোববার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে প্রশাসনের আরও একটি সভা হবে। সেখানে ইউটার্নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে আপাতত আজ রাত থেকে ইউটার্নটি বন্ধ রাখা হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত সকল যানবাহন পাশের সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের পাশের দয়াপুর এলাকা দিয়ে ইউটার্ন করবে।
এই সওজ কর্মকর্তা আরও বলেন, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার ইউলুপের কাজ চলমান আছে। তা চালু না হওয়া পর্যন্ত ইউটার্নগুলোতে যানবাহন চালকদের সতর্কতার সঙ্গে রাস্তা অতিক্রম করতে হবে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে মহাসড়কের পদুয়ারবাজার সংলগ্ন উত্তর রামপুর এলাকায় ইউটার্ন অতিক্রম করার সময় সিমেন্ট বোঝাই কাভার্ড ভ্যান উল্টে চাপা পড়ে প্রাইভেট কারের যাত্রী একই পরিবারের চার জনের মৃত্যু হয়। এরা হলেন, জেলার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), তাদের বড় ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল হাশেম (৫০) এবং ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন আবুল হাশেম।
এদিকে এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় কাভার্ড ভ্যান ও হানিফ পরিবহন বাসের অজ্ঞাতনামা চালকদের আসামি করা হয়েছে।
ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার এসআই আনিসুর রহমান আজ শনিবার সমকালকে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে দুর্ঘটনার জন্য কাভার্ড ভ্যান ও হানিফ পরিবহনের বাসের চালকই দায়ী। মামলার অভিযোগেও তাদের কথা বলা হয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজন নিহত : উম্মত্ত চালকদের নিয়ন্ত্রন করার দায়িত্ব কার?

অনুসন্ধান ডেস্ক ::
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক ছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সেন্ট মার্টিন পরিবহন বাসের চালক ও চালকের হেলপারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জামিন অযোগ্য দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে ৯ টার দিকে সেন্ট মার্টিন পরিবহন একটি বাসে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ওই ছাত্রীর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটলে গ্রেপ্তারের পর এ জামিন অযোগ্য কারাদণ্ড দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হোসেন আলী (২৫) এবং আলী হোসেন (২৩)। তাদের একজন বাসটির চালক এবং অপরজন চালকের সহকারী।
এর আগে, এ ঘটনার প্রতিবাদে কুমিল্লার কোটবাড়ী বিশ্বরোড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় সেন্ট মার্টিন পরিবহনের দুটি বাস জব্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে যান তারা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে কোটবাড়ী বিশ্বরোড থেকে সেন্ট মার্টিন বাসে ওঠেন ওই ছাত্রী। বাসটি পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে ইউটার্ন নেওয়ার কথা বলা থাকলেও তাকে নিয়ে বাসটি চৌদ্দগ্রামের দিকে চলে যায়। এরপর সুয়াগাজী নামক স্থানে গিয়ে ইউটার্ন নিয়ে পুনরায় পদুয়ার বাজার আসে। সেসময় বাসে বাসটির চালক, সহকারীসহ পাঁচজন ছিলেন। বাসে একা পেয়ে ওই ছাত্রীর গলায় ছুরি ধরে গহনা, টাকা-পয়সা নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তারা। ভুক্তভোগী ছাত্রীর হাতে কামড় দেন অভিযুক্তরা। এরপর হাত-পা বেঁধে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করলে সেই ছাত্রীর অনুরোধে ফেলে না দিয়ে শাকিল আবাসিক হোটেল নিয়ে আসে তারা। পদুয়ার বাজারের স্থানীয় এক ব্যক্তি ঘটনা আঁচ করতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খবর দিলে শিক্ষার্থীরা গিয়ে ভুক্তভোগীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেন এবং বাসে থাকা দুজনকে আটক করেন।
এ সময় জড়িত অন্য তিনজন পালিয়ে যান। পরে শিক্ষার্থীরা ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ আসে। শিক্ষার্থীরা বাস মালিক এবং অভিযুক্ত বাকি দুইজনকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসার দাবি জানান। পুলিশ শিক্ষার্থীদের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানালে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের দাবি না মানায় ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি ঠান্ডা করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযুক্তদের দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। বাকিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার মামলা করবে বলে নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া খানম বলেন, শিক্ষার্থীদের এসেই আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দেয়ার বিষয়ে। শিক্ষার্থীরা শুরুতে আমার কথায় কর্ণপাত করেনি। অবশেষে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি মেনে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম বলেন, গ্রেপ্তার দুইজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী বলেন, ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানাই। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের আইনি সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি।

চলন্ত বাসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টা :  ভ্রাম্যমান আদালতে চালক ও হেলপারের কারাদণ্ড

অন্যান্য সংবাদ

বরিশাল

অনুসন্ধান প্রতিবেদন ::

বরিশাল নগরীর দক্ষিণ চকবাজারে গণচলাচলের রাস্তার ওপর ফেলে প্রকাশ্যে স্ত্রীকে পেটানোর সেই আলোচিত ঘটনার বিষয়ে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. রকিবুল ইসলাম এর নির্দেশে মামলার
তদন্ত করছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ-হেল-মাফি। তিনি ইতোমধ্যেই উভয়পক্ষের স্বাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়েছেন। ঘটনাস্থলের স্পট ভিজিট করবেন বলেও জানিয়েছেন পক্ষদ্বয়কে। এরপরই রাতারাতি শুরু হয়ে গেছে প্রথম ঘটনাস্থল ভিকটিমের স্বামী ১ নং আসামীর দোকানের সাইনবোর্ডে নাম পরিবর্তনের নাটক!
দোকানের সাইন বোর্ডে “সোলাইমান সু হাউজ” নাম পরিবর্তন করে “লোকমান সু হাউজ” লাগিয়েছেন।
গত ৬ অক্টোবর নোটিশ দিয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ-হেল-মাফি তাঁর আদালতে উভয় পক্ষের স্বাক্ষ্য নেন। তিনি সরেজমিনে স্পষ্ট ভিজিট করবেন জেনে ওইদিন রাতেই স্ত্রী আখি আক্তারকে নির্যাতনের মামলার ১ নং আসামী মো: সোলাইমান ফরাজী তার নিজ নামীয় দোকানের নাম পরিবর্তন করে বড় ভাই মো: লোকমান ফরাজীর নামে সাইনবোর্ড তৈরি করে সেঁটে দেন। উল্লেখ্য, সোলাইমানের দোকানের সাথেই তার ভাই লোকমানের “লোকমান সু হাউজ” নামীয় দোকানটিও অবস্থিত। লোকমান ওই মামলার ২ নং আসামী। তিনি তার দোকান থেকে জিআই পাইপ সোলাইমানকে দিয়ে স্ত্রী আখিকে পেটাতে সহযোগিতা করেছিলেন বলে প্রতক্ষদর্শী বাহাদুর এ প্রতিনিধির কাছে স্বীকার করেন।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, নির্বাহী আদালতের “আর” আদ্যাক্ষরযুক্ত জনৈক বেঞ্চ সহকারির এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাসায় সপরিবারে ভাড়া থাকেন আসামী লোকমান ফরাজী। সেই সুবাদে আসামীপক্ষে তদ্বিরেও কাজ করছে ওই মহলটি। সম্প্রতি সোলাইমানও তদ্বিরের স্বার্থে ওই বাসায় বসবাস করতে শুরু করেছেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, সোলাইমান ও লোকমান লামচরীর পৈতৃক বাড়িতে গিয়ে বাবা মা ও এলাকাবাসী যাতে মামলার বাদী আখি আক্তারকে তালাকের পরে তা গোপন রেখে গত বছরের শীত মৌসুমে অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বামী সোলাইমান আখিকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন কিংবা আমলী আদালতে ১০৭/১১৭(গ) ধারার মামলা নিষ্পত্তির স্বার্থে সোলাইমান তার পিতা ও দু’জন আপন চাচাকে নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর চর আবদানী আখির বাবার বাসায় এসে মিমাংসা বৈঠকে মিলিত হয়ে সেখানে রাত যাপন করপছেন এই মর্মে কোন আলামত বা স্বাক্ষী প্রমান তদন্তকারী ম্যাজিস্ট্রেট না পান সেই প্রভাব খাটাতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে।
প্রকাশ যে, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে সোলাইমান স্ত্রী আখি আক্তারকে খবর দিয়ে নগরীর দক্ষিণ চকবাজারস্থ তার দোকান “সোলাইমান সু হাউজ” এ ডেকে নিয়ে যৌতুকের কথিত বাকী ৫ লক্ষ টাকার দাবী নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লোকমান আখির ওপর চড়াও হন এবং প্রচন্ড মারধর করে অজ্ঞান করে ফেলেন। এ এসময়ে বিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের স্টাফ অফিসার সহকারী পুলিশ কমিশনার প্রনয় রায় আখিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধারপূর্বক লঞ্চঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মাহবুব আলমের মাধ্যমে গ্রেফতারপূর্বক হাতকড়া পড়িয়ে কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় ওই দিন থানায় ১৬৯৮ নং জিডি এবং গত ১ জানুয়ারী বরিশালের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামী সোলাইমান সহ ৫ জনকে আসামী করে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত) ২০০৩ এর ১১(গ)/৩০ ধারায় ৩৬৪/২০২৫(কোতয়ালী) মামলা হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট স্পট ভিজিট করবেন তাই রাতারাতি দোকানের সাইনবোর্ডের নাম পরিবর্তন! 

নিজস্ব প্রতিনিধি,ভোলা::
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে জেলেদের মধ্যে ভিজিএফ খাদ্যশস্য বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ভিন্নধর্মী ও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসন। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পক্ষিয়া, গংগাপুর, টবগী ইউনিয়ন সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদে তালিকাভুক্ত জেলেদের নাম প্রকাশ্যে ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে কোন জেলে ভিজিএফ খাদ্যশস্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বা কে বাদ পড়েছেন-তা সবাই সহজে জানতে পারছেন। স্থানীয়দের মতে, এতে করে আগের মতো তালিকা নিয়ে ভিড় করা বা হয়রানির ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।

টবগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হাওলাদার এই পদক্ষেপের বিষয়ে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান উজ্জামান স্যারের নির্দেশে আমরা প্রথমবারের মতো জেলেদের তালিকা প্রকাশ্যে টানিয়ে দিয়েছি। যেন কেউ বাড়তি ভিড় করে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসনের এই কার্যক্রমের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিতরণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় জেলেরা। তাদের মতে, এর ফলে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক উপায়ে প্রকৃত জেলেরাই সহায়তা পাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে জেলেদের জীবনযাত্রা নির্বাহে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এই ভিজিএফ খাদ্যশস্য বিতরণ করা হচ্ছে। এ সময় বোরহানউদ্দিন উপজেলার মোট ১৯,৩৫০ জেলে পরিবারের জন্য পরিবার প্রতি ২৫ কেজি হারে মোট ৪৮৩.৭৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তালিকায় বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় ৮০০, গংগাপুর ইউপি ২৫২০, সাচড়া ইউপি ১৪৬০, দেউলা ইউপি ৮০০, কাচিয়া ইউপি ১৬৭০, হাসাননগর ইউপি ২৮৭০, টবগী ইউপি ২৫৬০, পক্ষিয়া ইউপি ১৮৭০, বড়মানিকা ইউপি ৩৪৫০, কুতুবা ইউপি ১৭৫০ জেলে রয়েছে। সর্বমোট ১৯,৩৫০ জেলের জন্য ৪৮৩.৭৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক উপায়ে খাদ্যশস্য বিতরণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় জেলেরা।

বোরহানউদ্দিনে জেলেদের ভিজিএফ’র তালিকা প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিনিধি,ভোলা::
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসূমে ভোলার নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণে কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় উপকূলীয় এলাকা ও নদ-নদীতে কোস্টগার্ডের টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের সমুদ্র, উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। জাটকা নিধন প্রতিরোধ, মা ইলিশ সংরক্ষণ ও মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে টহল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি দেখা গেছে, আর্টিসানাল ট্রলিং বোটের মাধ্যমে মাছ ধরার কারণে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, মাছের প্রজনন ব্যাহত ও ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই অনিয়ম প্রতিরোধে কোস্টগার্ডের ধারাবাহিক অভিযানের ফলে অবৈধ ট্রলিং বোটের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। ফলে সমুদ্র ও নদীতে মাছের প্রাচুর্যতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন উপকূলীয় অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টা টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হচ্ছে।

কোস্টগার্ড আরও জানায়, জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌবাহিনী, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। সার্বিক বিষয় তুলে ধরে বুধবার সকাল ১১টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার ভোলার খাল এলাকায় ব্রিফিং করেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেফট্যানেন্ট মোহাম্মদ মোস্তাকিম সিদ্দিকী।

ভোলার উপকূলে মা ইলিশ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের কড়া নজরদারি

নিজস্ব প্রতিনিধি,ভোলা::
ভোলার তজুমদ্দিনে খাদ্য গুদাম থেকে রাতের আঁধারে চাল সরানোর সময় জনতার হাতে ধরা পড়েছে কালাচান নামে এক শ্রমিক। প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ রুবেল ফকির জানান, বুধবার রাত ৮ টার দিকে ২নং গোডাউন এর তালা খুলে শ্রমিক কালাচান চালের বস্তা বের করেন। এসময় আমরা তাকে হাতেনাতে ধরি। পরে লোকজন এসে জড়ো হন। এ ঘটনা শুনে ওসিএলএসডি সরে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, প্রায় সময়ই গোডাউন কর্তৃপক্ষ সুযোগ মতো চাল সরিয়ে ফেলে। শ্রমিক কালাচান বলেন, স্যারের কাছ থেকে চাবি নিয়ে খাবার জন্য ১ বস্তা চাল বের করার সময় তারা এসে বাঁধা দিলে লোকজন জড়ো হয়। পরে চাল গোডাউনে ঢুকিয়ে রাখি। খাদ্য গুদামের সহকারী মোঃ সোহেলের কাছে চাল বের করার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, তখন আমি অফিসে ছিলাম না। এ বিষয়ে জানতে ওসিএলএসডি মোঃ লিয়াকত হোসেন এর কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে ফোন দিলে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।

তজুমদ্দিনে রাতের আঁধারে গোডাউন থেকে চাল সরানোর সময় জনতার হাতে আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি,ভোলা::
ভোলায় ইলিশের ভরা প্রজনন ও ডিম ছাড়া নিশ্চিত করতে ২২ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এ সময় মাছ ধরতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত নিবন্ধিত এক লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৮ জেলে পরিবারের জন্য সরকারের তরফ থেকে ২৫ কেজি হারে তিন হাজার ৫৮৫ দশমিক ৯৫০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হলেও এই তালিকায় নেই বেঁদে ও মান্তা জেলেরা। এদিকে ২২ দিন জাল ফেলতে বা বড়শিতে মাছ ধরতে পারবেন না বেঁদে ও মান্তা সম্প্রদায়ের জেলেরাও। পরিবার পরিজনের মুখে ভাতের জোগান দিতে বাধ্য হয়ে অনেকে এলাকা ছাড়ছেন। জেলা সদরের রাজাপুর জোড়খালে রয়েছে দেড় শতাধিক মান্তা সম্প্রদায়। শনিবার দুপুরে বেশ কিছু পরিবারকে নৌকা নিয়ে এলাকা ছাড়তে দেখা গেছে।

রোববার অনেকেই জানান ক্ষোভের কথা। সোহেল সরদার, রাকিব সরদার, জুয়েলের পরিবারকে এক জোটে চলে যেতে দেখা যায়। মান্তা সম্প্রদায়ের সিনিয়র সর্দার আদাই সর্দার, আব্দুর রহমান সর্দার জানান, তারা ভোলার জোড়খাল এলাকায় ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে তাদের সম্প্রদায়ের জেলেরা নৌকায় বসবাস করছেন। একমাত্র পেশা নদীতে ছোট জালে মাছ ধরা। অথচ তাদের জেলে নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়নি। যে কারণে তারা মাছ ধরা বন্ধকালীন সরকারের নির্ধারিত কোনো সুবিধা পান না। এক মাস আগে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান তাদের শুকনো খাবারের খাদ্য সহায়তা দেন।

কিন্তু এবার কোনো সহায়তা বা চাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। নুরু সর্দারের ছেলে মিরাজ জানান, ভোলার জোড়খালই এখন তাদের পরিচয়। কেন তারা সরকারি সুবিধা পাবেন না? ছালাউদ্দিন মাতাব্বরের স্ত্রী সালেহা বিবি জানান, তাদের চার সন্তান রয়েছে। আছেন বৃদ্ধ শ্বশুরও। ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে ওই সময় তারা কী করে সংসার চালাবেন।

জানা যায়, নিবন্ধিত জেলেরা জাটকা সংরক্ষণ প্রকল্প থেকে চার মাস ৪০ কেজি হারে ১৬০ কেজি চাল ও ইলিশ প্রজনন মৌসুমের ২২ দিনের জন্য ২৫ কেজি চাল হারে চাল পাচ্ছেন। নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে ভোলা সদরের ২০ হাজার ৩৯৮ পরিবার পাচ্ছে ৫০৯ দশমিক ৯৫০ টন চাল, দৌলতখান উপজেলার ২১ হাজার পরিবার পাচ্ছে ৫২৫ টন, বোরহানউদ্দিনের ১৯ হাজার ৩৫০ পরিবারের জন্য ৪৮৩ দশমিক ৭৫০ টন, তজুমদ্দিন উপজেলার ১৮ হাজার ৭১৫ পরিবারের জন্য ৪৬৭ দশমিক ৮৭৫ টন, লালমোহন উপজেলার ১৭ হাজার ১৮৬ পরিবারের জন্য ৪২৯ দশমিক ৬৫০ টন, চরফ্যাশন উপজেলার ৩৫ হাজার ৩৮৬ পরিবারের জন্য ৮৮৪ দশমিক ৬৫০ টন চাল ও মনপুরা উপজেলার ১১ হাজার ৪০৩ পরিবার পাচ্ছে ২৮৫ দশমিক ৭৫ টন চাল। ১২ অক্টোবরের মধ্যে চাল উত্তোলন করে জেলেদের মধ্যে বিতরণ করার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসাইন জানান, এবারই প্রথম জেলার নিবন্ধিত সব জেলে সরকারি খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন। বঞ্চিত বেঁদে বা মান্তা সম্প্রদায়কে নিবন্ধনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইউএনও আরিফুজ্জামান জানান, জেলা সদরে মানতা ও বেঁদে জেলে পরিবার রয়েছে ২৫০টি। নিবন্ধন না থাকায় এদের কোনো সরকারি সুবিধা দেওয়া যাচ্ছে না।

ভোলার মান্তা জেলেরা জীবিকার তাগিদে এলাকা ছাড়ছেন

অন্যান্য সংবাদ

রাজশাহী

সিলেট

অনুসন্ধান ডেস্ক ::

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সাত বছরের শিশু ছোঁয়া মনিকে হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শিশুটিকে আছড়ে হত্যা করার দায়ে তার ফুপাতো ভাই মো. মনিরুল ইসলাম জিহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে রায়গঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক মো. ওমর ফারুকের কাছে জিহাদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক রতন জানান, শনিবার সকালে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে জিহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ জানায়, বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে সে তার মামাতো বোন ছোঁয়া মনিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ছোঁয়া মনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানিয়ে দেবে বলায়, জিহাদ তাকে প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত টয়লেটের ওয়ালের সঙ্গে আছড়ে হত্যা করে। এরপর সে মরদেহ টয়লেটের ভেতরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

এসআই নাজমুল বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর জিহাদ অন্যদের সঙ্গে শিশুটিকে খোঁজার ভান করে। এমনকি মসজিদে মাইকিংও করে। পরে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার হওয়ার খবর পেয়ে সে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে জিহাদের রক্তমাখা গেঞ্জি ও লুঙ্গি উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে প্রতিবেশীর একটি ভাঙা ও পরিত্যক্ত টয়লেটের ভেতর থেকে ছোঁয়া মনির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির দাদি মোছা. ফিরোজা বেগম অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর গোয়েন্দা পুলিশ এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়।

 

সিরাজগঞ্জে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শিশু ছোঁয়াকে হত্যা করে ফুপাতো ভাই

অনুসন্ধান ডেস্ক ::

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং স্থানীয় পুলিশি সূত্রে ব্যাপকভাবে আলোচনা হয়েছে, সুনামগঞ্জের এক কিশোরী নিখোঁজ থাকার ঘটনায়। দীর্ঘদিনের অনুসন্ধান ও সামাজিক সমন্বয়মূলক প্রচেষ্টার পর অবশেষে ওই কিশোরীর খোঁজ পাওয়া গেছে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, কিশোরী স্বধর্মের একটিছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। তবে স্থানীয়রা এবং পরিবার সূত্রে জানা যায়, কিশোরীর বয়স মাত্র ১৫ বছর, যা আইনগতভাবে তাকে নাবালিকা হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করে। এত অল্প বয়সে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সামাজিক ও আইনগতভাবে উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।

স্থানীয় পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা কিশোরীর নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করেছি এবং তার পরিবারের সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এটি কেবল পরিবারের নয়, সমাজেরও একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।”

পুলিশ এবং সমাজকর্মীরা কিশোরী এবং তার পরিবারের সঙ্গে মানসিক সহায়তা এবং পরামর্শ প্রদান করছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, নাবালিকা কিশোরীদের এমন পরিস্থিতি সামাজিক শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবের প্রতিফলন, যা নিয়মিত মনিটরিং এবং পরিবারিক সহায়তার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।

অবশেষে খোঁজ মিলেছে নিখোঁজ কিশোরীর : প্রেমের টানে স্বধর্মের ছেলেকে বিয়ে!

ডেস্ক রিপোর্ট ::

স্নেহা চক্রবর্তী। সুনামগঞ্জ সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি-দুই পরীক্ষাতেই জিপিএ ৫। শত প্রতিকূলতার মাঝেও দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে গিয়েছিল মেয়েটি। স্বপ্ন ছিলো বড় হয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হবে। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চলতি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে।
আজ ছিল তার জীবনের একটি নতুন সূচনার দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ক্লাস। গতকাল সকালে বাবার হাত ধরে প্রথমবার পা রাখে স্বপ্নের প্রাঙ্গণে। বাবা বিপুল চক্রবর্তী, শান্তিগঞ্জ উপজেলার আস্তমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। চোখে আনন্দের অশ্রু আর গর্ব ভরে মেয়েকে নিয়ে যান ভর্তি করাতে। মেয়ে ভর্তি হলো, ভর্তির কাজ শেষে বিকেলের দিকে বাবার বুক জড়িয়ে ধরে বাড়ির পথে রওনা দেয় স্নেহা। বাবা নিজে তাকে তুলে দেন সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। কে জানত, সেই শেষ বিদায়টা হবে এতটা চিরন্তন, এতই নির্মম! পথেই বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে থেমে যায় একটি সম্ভাবনাময় প্রাণ। স্নেহা আর বাড়ি ফিরে আসেনি।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মা জ্যোতি চক্রবর্তী আর ছোট ভাই সূর্য চক্রবর্তী ছুটে যান হাসপাতালে। মেয়ের নিথর শরীর দেখে ছটফট করতে করতে জ্ঞান হারান মা। ছোট ভাই সূর্য যেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছিল না, শুধু বড় বোন স্নেহার লাশের দিকে তাকিয়ে থাকে! এটা তার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল। একে একে পরিবারের নিকটজনরা হাসপাতালে আসতে থাকে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তখন কেবল কান্না আর আহাজারি! একটি পরিবার ভেঙে চুরমার হয়ে গেল মুহূর্তে।
একটি স্বপ্নভঙ্গের ইতিহাস এভাবেই নিরবে লেখা হলো আজ। স্নেহা চক্রবর্তী আর নেই। থেকে গেলো তার অসমাপ্ত স্বপ্ন, বাবার চোখের জল, মায়ের বুকভাঙা কান্না আর ভাইয়ের অজস্র প্রশ্ন,”দিদিগো, তুমি কোথায় গেলে?”
আমরা স্নেহার আত্মার শান্তি কামনা করছি, অনন্তলোকে ভালো থাকুক মেয়েটি। ওঁ দিব্যান্ লোকান্ স গচ্ছতু।।

স্বপ্নার স্বপ্নীল স্বপ্ন ভেঙ্গে চূড়মার : একটি পরিবার ধ্বংসস্তূপে পরিনত

অনুসন্ধান ডেস্ক ::
সিলেট মহানগরের শামীমাবাদে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।  পুলিশের বিরুদ্ধেও অসহযোগীতার অভিযোগ করেছে ওই পরিবার।
 রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন শামীমাবাদ এলাকার ১৮৩ নং বাসার বাসিন্দা ও এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার গীতা রানী হালদারের মেয়ে পুজা মন্ডল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান তার বাবা তপুন কুমার মন্ডল কাজল প্রবাসে থাকেন। মা গীতা রানী স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে শামীমাবাদের বাসায় থাকেন। ২০১৩ সালে শামীমাবাদ এলাকায় ৪ শতক জায়গা ক্রয় করে সেখানে বাসা নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন গীতা রানী। বাসা নির্মাণের সময় এবং পরবর্তীতে কোনো ঝামেলার শিকার হননি। তবে চব্বিশের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে হঠাৎ করে একটি চক্র তাদেরকে হয়রানি শুরু করে। তার বাসার লাগোয়া প্লটের মালিক সোহেল বেগ এবং তার সহযোগী রজব আলী, আব্দুল মুমিন, ইমরান আহমদ, শাহান আহমদ, কামরান আহমদ, আঙ্গুর মিয়া, ফকির আলী, রাসেল আহমদ, সুমান আহমদ ও রাব্বিসহ আরও বেশ কয়েকজন এই উৎপাত শুরু করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সোহেল বেগের দাবি তার জায়গায় গীতা রানীদের বাসা। কিন্তু এর সপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি সোহেল বেগ। তারপরও গীতা রানী বলেন, প্রবাসী স্বামী দেশে আসলে এ বিষয়ে দুপক্ষ আলোচনায় বসবেন। সোহেল তার কথায় কর্ণপাত না করে গীতা রানীকে নিয়মিত হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন এবং ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পূজা মন্ডলের অভিযোগ, মূলত চাঁদা আদায় করাই এই চক্রের আসল উদ্দেশ্য।
গীতা রানীর মেয়ে বক্তব্যে আরও বলেন, চাঁদা না দেয়ায় গত ২৮ জুলাই মধ্যরাতে সোহেল বেগ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তার বাউন্ডারি দেওয়াল গুড়িয়ে দেন এবং বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালান। বাসার সিসিটিভি ক্যামেরাও ভাঙচুর করেন। এসময় গীতা রানী হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন, বাসায় ছিলেন তার দুই ছেলে-মেয়ে। তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ যাওয়ার আগে হামলাকারীরা গীতা রানীর ছেলে-মেয়ে ও তাকে প্রাণে হত্যা করার হুমকি দিয়ে যায়।
 এ ঘটনার পর গীতা রানী সিলেট কোতোয়ালি থানায় এজাহার দায়ের করলেও পুলিশ মামলা রেকর্ড করেন নি। পরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ দিলেও মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। পুলিশের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে অবশেষে বাধ্য হয়ে গীতা রানী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে দুটি মামলার আবেদন করেছেন।

সিলেটে সংখ্যালঘু পরিবারকে হয়রানী : সহযোগিতা করেনি পুলিশ

অন্যান্য সংবাদ

রংপুর

অনুসন্ধান ডেস্ক ::
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার হামিন্দপুর কামারপাড়া এলাকায় আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে তৈরি করা প্রতিমায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রতিমার বিভিন্ন সরঞ্জাম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে হামিন্দপুর সর্বজনীন দুর্গামন্দিরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও এর আগেই প্রতিমাগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মন্দির নিয়ে ক্যাশিয়ার কার্তিক চন্দ্রের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত শনিবার দুপুরে তিনি মন্দিরের প্রধান দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। বাধ্য হয়ে মন্দিরের দক্ষিণ পাশে খোলা আকাশের নিচে পূজার প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেন কারিগররা। গত ৫/৬ দিনে তারা বাঁশ ও খড় দিয়ে দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশসহ প্রতিমার নানা সরঞ্জাম তৈরি করেন। কিন্তু রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা হঠাৎ প্রতিমাগুলোতে আগুন দিলে মুহূর্তেই সব পুড়ে যায়।
মন্দির কমিটির সাবেক সভাপতি অনুকূল চন্দ্র রনু বলেন, ‘মন্দির নিয়ে সামাজিক বিরোধের কারণে আমরা ৮-১০টি পরিবার মন্দিরের পাশে ছাপরা ঘর তুলে পূজার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিই। সে অনুযায়ী প্রতিমা তৈরির কাজ চলছিল। কিন্তু শত্রুতার আগুনে সব পুড়ে গেছে। পরিকল্পিতভাবে প্রতিমায় আগুন দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কার্তিক চন্দ্রের সম্পৃক্ততা আছে।’
মন্দিরের পাশের বাসিন্দা টুলু বলেন, ‘দীর্ঘদিনের বিরোধ এর আগেও কয়েকবার বসে সমাধান হয়েছিল। কিন্তু কার্তিক চন্দ্র জোরপূর্বক মন্দিরে সমাজের লোকজনের প্রবেশে বাধা দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। প্রতিমা পুড়ে যাওয়ায় এবার দুর্গাপূজা নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেফতারের দাবি জানাই।’
এদিকে, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দীন খন্দকার এবং সাদুল্লাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রভাত চন্দ্র অধিকারী। তারা প্রতিমাগুলো দেখে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলেন।
এ বিষয়ে ওসি তাজউদ্দীন খন্দকার বলেন, ‘রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা প্রতিমায় আগুন দিয়েছে। গুরুত্ব  সহকারে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া বিরোধ সমাধানে উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে।’
সাদুল্লাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রভাত চন্দ্র অধিকারী বলেন, ‘এই মন্দির নিয়ে কার্তিক চন্দ্রের সঙ্গে বিরোধের বিষয়টি আমরা এর আগেও থানায় বসে সমাধান করেছি। কিন্তু আবারও দ্বন্দ্ব চলছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য বসার কথা ছিল। তার আগেই প্রতিমায় আগুন দেওয়া হয়েছে। আমরা দ্রুতই উভয়কে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করবো।’
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি মন্দিরের ক্যাশিয়ার কার্তিক চন্দ্রকে। রাতে তার বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া মেলেনি।
[তথ্যসূত্র: সনাতন টিভি]

মন্দির কমিটির অন্তর্দ্বন্দের শিকার স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় : গাইবান্ধায় রাতের আঁধারে দূর্গা প্রতিমায় দুর্বৃত্তের আগুন

অনুসন্ধান ডেস্ক ::

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ১০ মাস ধরে আটকে রেখে ১২ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে সৎ বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা সহায়তা করেছে বলে জানা গেছে। তাদের দুজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম। এর আগে শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগীর মামা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

আসামিরা হলেন, উপজেলার নিতাই পানিয়ালপুকুর গাংবের এলাকার আসাদুল মিস্ত্রির ছেলে রশিদুল ইসলাম (৪০) ও তার স্ত্রী আঁখি আক্তার নাসরিন (২৮)।

মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর মা চার বছর আগে প্রথম স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে দুই সন্তানসহ রশিদুল ইসলামকে বিয়ে করেন। তাকে বিয়ে করার পর রশিদুলের প্রথম স্ত্রী থাকার কারণে নাসরিনকে সন্তানসহ উপজেলা ব্র্যাক অফিসের পাশে ভাড়া বাসায় রাখতেন। পরে রশিদুল তার স্ত্রী নাসরিনের ১২ বছরের মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে সে রাজি না হওয়ার কারণে তার মাসহ তাকে মারধর করেন। পরে জোরপূর্বক ১০ মাস ধরে ভুক্তভোগীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে আসছে। এতে ভুক্তভোগী দুই মাসের গর্ভবতী হলে তার গর্ভপাত করাতে ওষুধ সেবন করালে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর আবারও ধর্ষণ করেন রশিদুল ইসলাম।

শুক্রবার ভুক্তভোগীর মামার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় ভুক্তভোগী তার মামাকে সবকিছু খুলে বললে তিনি থানায় এসে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করেন।

ভুক্তভোগীর মামা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভাগ্নিকে ১০ মাস ধরে আটকে রেখে তার মায়ের সহায়তায় সৎ বাবা ধর্ষণ করে আসছে। ৫ মাস আগে সে গর্ভধারণ করলে তাকে ওষুধ সেবন করিয়ে গর্ভপাত করা হয়। আমরা চাই দোষীরা যেন বিচারের মুখোমুখি হয়।

কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মায়ের সহায়তায় সৎ বাবা এক শিশুকে ১০ মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

 

সৎ বাবার ধর্ষণের শিকার কিশোরী : সহযোগিতা করেছে মা! 

অনুসন্ধান ডেস্ক ::
❝ রংপুরের তারাগঞ্জ বাজার। ফুটপাতে ছোট্ট কাঠের চৌকিতে বসে জুতা সেলাই করছে ১৪ বছরের জয় রবিদাস। পাশে যন্ত্রপাতি, সামনে কয়েক জোড়া জুতা। এখানেই বারো বছর ধরে বসতেন তার বাবা রূপলাল রবিদাস। গত ৯ আগস্ট মব সন্ত্রাসে বাবার মৃত্যুর পর সেই শূন্য আসনে বসতে হয়েছে ছেলেকে।
জয় ছিল তারাগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার। বাবাকে হারিয়ে সেই স্বপ্ন থেমে গেছে তার। সংসারের ভার কাঁধে নিয়ে বাধ্য হয়ে নামতে হয়েছে পৈতৃক পেশায়।
শুক্রবার সকালে জয়কে দেখা যায় বাজারের ফুটপাতে বসে জুতা সেলাই করতে।
জয়ের মা মালতি রানী রবিদাস বলেন, ‘সংসারে আর
কোনো পুরুষ নেই, জয়-ই এখন ভরসা। কতটুকু আয় করতে পারবে জানি না, তবে সেই আয়ে আমাদের কোনোভাবে বাঁচতে হবে। ছেলেটাকে স্কুলে পাঠাতে না পেরে বুক ফেটে যাচ্ছে। কিছু মানুষ আমাদের সুখ-শান্তি চিরদিনের জন্য কেড়ে নিয়েছে।’
রূপলালের বড় মেয়ে নুপুর রবিদাস বলেন, ‘বাবা বেঁচে থাকলে ছোট ভাইকে স্কুল ছেড়ে ফুটপাতে জুতা সেলাইয়ের কাজ করতে হতো না। ছোট ভাইয়ের রোজগারে সংসার চলছে—এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় দুঃখ। যদি উপায় থাকতো তাহলে জয়কে কাজ করতে যেতে দিতাম না।’ ❞
❝ গত ৯ আগস্ট রাতে রূপলাল রবিদাস (৪৮) ও তার ভাগ্নিজামাই প্রদীপ লাল রবিদাস (৪৭) ব্যাটারিচালিত ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তারাগঞ্জের সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলায় তাদের ভ্যানচোর সন্দেহে আটক করে স্থানীয়রা। কিছু সময়ের মধ্যেই মব গড়ে ওঠে এবং পিটিয়ে হত্যা করা হয় দুজনকে।❞
মহাজন ভালো আছেন। তার মেধাবী ছাত্ররা এখন কোটিপতি। হাঁস খায় পাঁচ তারকা হোটেলে। চলাচলের জন্য বিমান হেলিকপ্টার আছে। বিশ্রামের জন্য চীন আমেরিকা কক্সবাজারের পাঁচ তারকা হোটল আছে। আর জনগণ ভাতের অভাবে ফুটপাতে নেমে এসেছে।
[সৌজন্য: স্টার বাংলা]

মহাজনের মবের মুল্লুকে জয়ের পরাজয়! 

অনুসন্ধান ডেস্ক::
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ইউএনও’র নির্দেশে বলিদ্বারা দূর্গাপূজা মন্দিরের জায়গা দখলের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ( ৩১ জুলাই) উপজেলা পরিষদ চত্বরে পূজারিরা এ বিক্ষোভ করেছেন।
মন্দির কমিটি সূত্রে জানা যায়, বলিদ্বারা বাজার সংলগ্ন ১৬ শতাংশ জমির ওপর দূর্গাপূজা মন্দির রয়েছে। সেখানে বিগত সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পূর্জা অর্চনা করে আসছেন। ওই জমির ওপর হঠাৎ ললুপ দৃষ্ঠি পড়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাফিউল মাজলুবিন রহমানের। তিনি গত বুধবার মন্দিরে উপস্থিত হয়ে ২ ঘন্টার মধ্যে সফিকুল নামের এক জনকে মন্দিরের জায়গা ছেড়ে দিতে বলেন। নতুবা মন্দিরের লোককে এরেস্ট করে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।
এঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ফুঁসে উঠলে বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে ইউএন’ও বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় ইউএনও পূর্জা কমিটির লোকজনকে শান্ত হতে বলেন এবং বিকেলের মধ্যেই জমি সার্ভে করার কথা ঘোষণা দেন।
এ প্রসঙ্গে পূর্জা কমিটির সভাপতি সেবুলাল রায় বলেন, ‘বলিদ্বারা এলাকার রহমান আলী’র ছেলে সফিকুল ইসলামের মন্দিরের পিছনে বাড়ি করার কথা। এজন্য ইউএনও মন্দিরে এসে লোকজন দিয়ে বেড়া খুলে দেন এবং পূজা অর্চনার কাজে ব্যবহৃত কলা গাছ গুলো কেটে দেন। যা মোটেও কাম্য নয়। পরদিন এজন্য আমরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করি’।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমান মুঠোফোনে বলেন, সরেজমিনে গিয়ে মন্দিরের ১৬ শতাংশ মেপে দেয়া হয়েছে। এসময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ছিল, ওসি ছিল, আমি ছিলাম। সেখানে আর রাস্তা বের হবে না মনে হয়।
[তথ্যসূত্র: সনাতন টিভি]

ঠাকুরগাঁও ইউএনও’র নির্দেশে মন্দিরের জায়গা দখল : পূজারিদের বিক্ষোভ

ডেস্ক রিপোর্ট ::
হিন্দুদের বাড়িতে হামলার বিষয়ে তথ্য চাওয়ায় দুই সাংবাদিককে গালমন্দ ও হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই দুই সাংবাদিক হলেন, প্রথম আলোর রংপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক জহির রায়হান ও কালবেলার রংপুর প্রতিনিধি রেজওয়ান রনি।
রেজওয়ান রনি বলেন, ‘হামলার ঘটনার অনুসন্ধানে নেমে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পারি, রোববার সকাল থেকে কিশোরগঞ্জের মাগুরা ইউনিয়নে মাইকিং করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। দুপুর ২টার দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েকশ মানুষ ঘটনাস্থলের এক কিলোমিটার দূরে বাংলাবাজারে জড়ো হন। ওই দিন কিশোরগঞ্জ থানা থেকে বাংলাবাজারে চার-পাঁচ পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উত্তেজিত জনতা বালাপাড়ায় হিন্দুপল্লির দিকে এগোলে তারা বাঁধা দেননি, বরং পেছনে ছিলেন।’
রনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কথা বলতে থানায় গেলে ওসি আশরাফুল ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের গালাগাল করেন। তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন এসআই মহসীন। কিন্তু ওসি তাঁকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ওদের ধরেন। ফাজলামো করলে পিটিয়ে সোজা করে দেব। এরপর আমাদের থানা থেকে সরিয়ে নেন এসআই।’
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক বলেন, ওসি আশরাফুলকে প্রত্যাহার করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা না করলে সাংবাদিকরা আন্দোলনে যাবেন।
তথ্যসূত্র: সমকাল

গঙ্গাচড়া হিন্দু পল্লীতে হামলার বিষয়ে তথ্য চাওয়ায় দুই সাংবাদিককে হুমকি : ওসি প্রদীপ’র ভূমিকায় আশরাফুল

অন্যান্য সংবাদ

অনুসন্ধান প্রতিবেদন ::

বরিশাল নগরীর দক্ষিণ চকবাজারে গণচলাচলের রাস্তার ওপর ফেলে প্রকাশ্যে স্ত্রীকে পেটানোর সেই আলোচিত ঘটনার বিষয়ে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. রকিবুল ইসলাম এর নির্দেশে মামলার
তদন্ত করছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ-হেল-মাফি। তিনি ইতোমধ্যেই উভয়পক্ষের স্বাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়েছেন। ঘটনাস্থলের স্পট ভিজিট করবেন বলেও জানিয়েছেন পক্ষদ্বয়কে। এরপরই রাতারাতি শুরু হয়ে গেছে প্রথম ঘটনাস্থল ভিকটিমের স্বামী ১ নং আসামীর দোকানের সাইনবোর্ডে নাম পরিবর্তনের নাটক!
দোকানের সাইন বোর্ডে “সোলাইমান সু হাউজ” নাম পরিবর্তন করে “লোকমান সু হাউজ” লাগিয়েছেন।
গত ৬ অক্টোবর নোটিশ দিয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ-হেল-মাফি তাঁর আদালতে উভয় পক্ষের স্বাক্ষ্য নেন। তিনি সরেজমিনে স্পষ্ট ভিজিট করবেন জেনে ওইদিন রাতেই স্ত্রী আখি আক্তারকে নির্যাতনের মামলার ১ নং আসামী মো: সোলাইমান ফরাজী তার নিজ নামীয় দোকানের নাম পরিবর্তন করে বড় ভাই মো: লোকমান ফরাজীর নামে সাইনবোর্ড তৈরি করে সেঁটে দেন। উল্লেখ্য, সোলাইমানের দোকানের সাথেই তার ভাই লোকমানের “লোকমান সু হাউজ” নামীয় দোকানটিও অবস্থিত। লোকমান ওই মামলার ২ নং আসামী। তিনি তার দোকান থেকে জিআই পাইপ সোলাইমানকে দিয়ে স্ত্রী আখিকে পেটাতে সহযোগিতা করেছিলেন বলে প্রতক্ষদর্শী বাহাদুর এ প্রতিনিধির কাছে স্বীকার করেন।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, নির্বাহী আদালতের “আর” আদ্যাক্ষরযুক্ত জনৈক বেঞ্চ সহকারির এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাসায় সপরিবারে ভাড়া থাকেন আসামী লোকমান ফরাজী। সেই সুবাদে আসামীপক্ষে তদ্বিরেও কাজ করছে ওই মহলটি। সম্প্রতি সোলাইমানও তদ্বিরের স্বার্থে ওই বাসায় বসবাস করতে শুরু করেছেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, সোলাইমান ও লোকমান লামচরীর পৈতৃক বাড়িতে গিয়ে বাবা মা ও এলাকাবাসী যাতে মামলার বাদী আখি আক্তারকে তালাকের পরে তা গোপন রেখে গত বছরের শীত মৌসুমে অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বামী সোলাইমান আখিকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন কিংবা আমলী আদালতে ১০৭/১১৭(গ) ধারার মামলা নিষ্পত্তির স্বার্থে সোলাইমান তার পিতা ও দু’জন আপন চাচাকে নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর চর আবদানী আখির বাবার বাসায় এসে মিমাংসা বৈঠকে মিলিত হয়ে সেখানে রাত যাপন করপছেন এই মর্মে কোন আলামত বা স্বাক্ষী প্রমান তদন্তকারী ম্যাজিস্ট্রেট না পান সেই প্রভাব খাটাতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে।
প্রকাশ যে, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে সোলাইমান স্ত্রী আখি আক্তারকে খবর দিয়ে নগরীর দক্ষিণ চকবাজারস্থ তার দোকান “সোলাইমান সু হাউজ” এ ডেকে নিয়ে যৌতুকের কথিত বাকী ৫ লক্ষ টাকার দাবী নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লোকমান আখির ওপর চড়াও হন এবং প্রচন্ড মারধর করে অজ্ঞান করে ফেলেন। এ এসময়ে বিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের স্টাফ অফিসার সহকারী পুলিশ কমিশনার প্রনয় রায় আখিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধারপূর্বক লঞ্চঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মাহবুব আলমের মাধ্যমে গ্রেফতারপূর্বক হাতকড়া পড়িয়ে কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় ওই দিন থানায় ১৬৯৮ নং জিডি এবং গত ১ জানুয়ারী বরিশালের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামী সোলাইমান সহ ৫ জনকে আসামী করে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত) ২০০৩ এর ১১(গ)/৩০ ধারায় ৩৬৪/২০২৫(কোতয়ালী) মামলা হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট স্পট ভিজিট করবেন তাই রাতারাতি দোকানের সাইনবোর্ডের নাম পরিবর্তন! 

ওমান প্রতিনিধি ::

মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি প্রধানমন্ত্রী এবং রাজবংশের ২৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্বর্ণ ও রৌপ্য দুটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেছে ওমানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ উদ্যোগ ওমানের দীর্ঘ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে বলে জানা যায়।

মুদ্রাগুলোর সামনের অংশে রয়েছে সুলতান হাইথম বিন তারিকের রঙিন প্রতিকৃতি, সুলতানের তুঘরা, আল আলম প্রাসাদ এবং ঐতিহাসিক জালালি ও মিরানি দুর্গের ছবি। পেছনের অংশে রয়েছে সোহার দুর্গ, ঐতিহ্যবাহী ওমানি জাহাজ এবং আল বুসাঈদ রাজবংশের ইমাম ও সুলতানদের নাম।

মোট ১৫টি স্বর্ণ ও ১,০০০টি রৌপ্য মুদ্রা তৈরি করা হয়েছে, প্রতিটির মূল্যমান ১ ওমানি রিয়াল। স্বর্ণের মুদ্রায় ০.৯২৭ বিশুদ্ধতা এবং রৌপ্যে ০.৯৯৯ বিশুদ্ধতা রয়েছে। স্বর্ণের মুদ্রার বিক্রয়মূল্য শুরু হচ্ছে ৭,৯৩৫ রিয়াল থেকে এবং রৌপ্যের ১৩৪ রিয়াল থেকে, যা আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে।

এই স্মারক মুদ্রাগুলো বৈধ মুদ্রা হিসেবে গণ্য হবে এবং মাস্কেট, রুই, সালালাহ ও সোহারে অবস্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক শাখাসহ অপেরা গ্যালারিয়ার ওমান পোস্ট কাউন্টার থেকে ক্রয় করা যাবে।

ওমান রাজ বংশের ২৮০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

অনুসন্ধান কৃষি ডেস্ক ::
দ্রুত নগরায়ন, জনসংখ্যার চাপ এবং কংক্রিটের আধিপত্যে রাজধানী ঢাকার সবুজ প্রকৃতি আজ প্রায়
বিলীন হওয়ার পথে। খোলা জায়গার অভাব, বায়ুদূষণ,
তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা এখন শহরবাসীর বাস্তব চ্যালেঞ্জ। এই প্রেক্ষাপটে ছাদ কৃষি আর কেবল শখ নয় এটি হয়ে উঠছে নগর জীবনের টেকসই সমাধান, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও পরিবেশ রক্ষার এক কার্যকর উদ্যোগ।
নিরাপদ ও বিষমুক্ত খাদ্যের উৎস:
শহরে বাজারের সবজি ও ফল প্রায়ই কীটনাশক ও রাসায়নিক মিশ্রণে দূষিত। ছাদ কৃষির মাধ্যমে পরিবার নিজের ছাদেই জৈব উপায়ে চাষ করে পেতে পারে বিশুদ্ধ, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে এবং পরিবারে খাদ্যনির্ভরতা বৃদ্ধি পায়।
নগর পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ: 
সবুজ ছাদ ভবনের তাপমাত্রা কমিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখে, ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। গাছ বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে, অক্সিজেন উৎপন্ন করে এবং ধুলা ও দূষণ কমায়। এটি শহরের তাপদ্বীপ (Urban Heat Island) প্রভাবও হ্রাস করে।
 মানসিক প্রশান্তি ও সামাজিক বন্ধন:
ছাদে গাছের পরিচর্যা মানসিক প্রশান্তি আনে, কাজের চাপ কমায় ও মনকে প্রফুল্ল রাখে। পরিবার একসাথে গাছ লাগানো বা ফল সংগ্রহে যুক্ত হলে পারিবারিক সম্পর্কও আরও দৃঢ় হয়। শিশুরা প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা শেখে।
অর্থনৈতিক সাশ্রয় ও উদ্যোক্তা সম্ভাবনা:
ছাদ কৃষি একদিকে খাদ্য ব্যয় কমায়, অন্যদিকে উৎপাদিত ফসল বিক্রির মাধ্যমে বাড়তি আয়ও সম্ভব। অনেকেই এখন ছাদ কৃষিকে বাণিজ্যিকভাবে গ্রহণ করছেন—হাইড্রোপনিক, ভার্টিক্যাল ফার্মিং বা পাত্রভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
টেকসই নগর উন্নয়ন ও জলবায়ু অভিযোজন:
ছাদ কৃষি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে সহায়তা করে, নগরের সবুজ এলাকা বাড়ায় এবং ভবনগুলোকে পরিবেশবান্ধব করে তোলে। এটি নগর পরিকল্পনায় টেকসই উন্নয়ন (SDG 11: Sustainable Cities and Communities) বাস্তবায়নেরও অন্যতম উপায়।
 পরিশেষে বলা যায় –
রাজধানীতে ছাদ কৃষি হলো এক সবুজ বিপ্লব, যেখানে
✅ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন,
✅ পরিবেশ সুরক্ষা,
✅ মানসিক প্রশান্তি, এবং
✅ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা—
সব একসাথে মিশে যায়।
নগর জীবনে “সবুজের ছাদ” শুধু একটি ধারণা নয়, বরং এটি আগামী প্রজন্মের জন্য টেকসই ও বাসযোগ্য রাজধানী গড়ার এক বাস্তব পদক্ষেপ।
লেখক: 
★ সভাপতি, বাংলাদেশ পেশাজীবী ফেডারেশন
★ কৃষি লেখক ও  কথক, বাংলাদেশ বেতার
★ উপদেষ্টা, দৈনিক গ্রামীণ কৃষি

🌿   রাজধানীতে ছাদ কৃষির গুরুত্ব   🌿

ওমান প্রতিনিধি ::
ওমানের শ্রম মন্ত্রণালয় দেশের সব নিয়োগকর্তাকে কর্মক্ষেত্রে পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির মন্ত্রণালয়।
শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ বজায় রাখতে দুর্ঘটনা, আঘাত ও পেশাগত রোগ প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে তারা।
পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বিধিমালার ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো কর্মস্থলে দুর্ঘটনা, আঘাত বা নিশ্চিত পেশাগত রোগের ঘটনা ঘটলেই, প্রতিষ্ঠান মালিককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা শাখা প্রধানকে জানাতে হবে।
বীমা সুবিধাভুক্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষা তহবিলের নিয়ম মেনে তথ্য প্রদান করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন না দিলে প্রতিষ্ঠান মালিককে আইনি জটিলতার মুখোমুখি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এসব নিয়ম মেনে চললে শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

পাশাপাশি এটি নিরাপদ ও উৎপাদনশীল কর্মপরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে মনে দেশটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।

নিরাপত্তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান ওমান শ্রম মন্ত্রণালয়ের


ওমান প্রতিনিধি ::
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় এবারে দ্রুত ব্যবস্থা নেমেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। ঘটনার পরপরই প্রতিনিধি পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, নিহতদের একেক জনকে একেক হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এক হাসপাতাল থেকে আরেকটার দূরত্ব ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। তবে একটা সুবিধা হলো নিহত সবারই স্পন্সর একই ব্যক্তি।
আমরা স্পন্সর ও রয়েল পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ জানিয়েছে, রোববার তারা তদন্ত প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদনের পর স্পন্সর ও সরকারি খরচে লাশগুলো দেশে পাঠানো হবে। সব ঠিকঠাক থাকলে ১৫ অক্টোবরের মধ্যেই লাশগুলো দেশে পাঠানো সম্ভব হবে বলে আশা রাখছি।


ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নিহত আটজনের মধ্যে শুধুমাত্র একজনের ইনস্যুরেন্স ছিল। তিনি এক-দুই মাসের মধ্যে ৫ হাজার ওমানি রিয়াল ( বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ লাখ টাকা) ক্ষতিপূরণ পাবেন। এখানকার আইনে বলা আছে গাড়ির ইনস্যুরেন্সের আওতায় যাত্রী যে-ই হোন না কেন, আইনি প্রক্রিয়ায় জয়ী হলে প্রতি যাত্রী ১৫ হাজার রিয়াল পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার রাখেন।
এই ঘটনার ক্ষেত্রেও সেই সুযোগ প্রযোজ্য হবে বলে আমরা আশাবাদী। তবে এজন্য চার ধাপে আইনি লড়াই করতে হবে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের দূতাবাসকে (কোনো ব্যক্তিকে নয়) পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিতে হবে। এরপর দূতাবাস আইনজীবী নিয়োগ দেবে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগতে পারে।

অন্যদিকে টাইমলাইন থেকে নেওয়া তথ্য আদরের ছেলে রেখে চলে যাচ্ছি প্রবাসে’ ২৩ আগস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় এই লেখাটিই ছিল ওমান প্রবাসী মোশাররফ হোসেন রনির শেষ পোস্ট। ঠিক দেড় মাসের মাথায়, সেই সন্তানকেই রেখে এবার চিরতরে বিদায় নিলেন রনি।
বুধবার দুপুরে ওমানের দুখুমে মাছ ধরে ফেরার পথে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান রনি ও আরও সাত বাংলাদেশি। তাদের সবাই চট্টগ্রামের সন্তান। সাতজন সন্দ্বীপের, একজন রাউজানের। মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে যায় প্রবাসীর জীবন।
সারিকাইত ইউনিয়নের মানুষ বলছে, এমন দৃশ্য তারা আগেও দেখেছে ২০২১ সালেও। একই জায়গায় মাছ ধরার পর ফেরার পথে প্রাণ হারিয়েছিলেন পাঁচজন প্রবাসী। বারবার একই ট্র্যাজেডি, একই কান্না কিন্তু বদলায়নি ভাগ্য।
দুকুম ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরের এক মরুভূমি। কাজ না পেয়ে অবৈধভাবে সাগরে মাছ ধরেন বহু বাংলাদেশি। নেই নির্দিষ্ট আয়, নেই নিরাপত্তা। কখনো পুলিশের ধাওয়া, কখনো বেপরোয়া গাড়ির চাপা জীবন চলে আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তায়।
একজন প্রবাসী বলেন, সেখানে আমরা মাছ ধরি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। অনেক সময় গাড়ির ভেতরই ঘুমিয়ে থাকি। আবার ধরা পড়লে জেল খাটতে হয়।
সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করে ওমান গিয়েছিলেন আমিন খান নকিব। কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে দুকুমে তিন মাস মাছ ধরেন, আয় মাত্র ২০ হাজার টাকা। পরে ধরা পড়ে জেল খাটেন, দেশে ফিরে ভিসা নবায়নও বন্ধ হয়ে যায়। তার আক্ষেপ দূতাবাসের কাছে আশ্রয় চেয়েছি, কিন্তু সাড়া পাইনি।

ওমান দুর্ঘটনায় নিহতরা পাবেন ক্ষতিপূরণ : আশ্বাস দূতাবাসের

অনুসন্ধান কৃষি ডেস্ক::   
একই জমিতে একসাথে দুই বা ততোধিক ফসল চাষ করাকেই সাথী ফসল বলে।  মানে,  এক ফসলের সাথে আরেক ফসল-দুইজন যেন একসাথে জমিতে “সাথী” হয়ে বড় হয়। এতে জমি, সময় আর শ্রম সব কিছুর ভালো ব্যবহার হয়।
কেন সাথী ফসল চাষ করা দরকার:
জমি ফাঁকা পড়ে থাকে না। একসাথে দুই ফসল পেলে লাভও বেশি, মাটির উর্বরতাও বাড়ে, রোগ-পোকা কম লাগে, এক ফসল নষ্ট হলেও আরেকটা থেকে আয় হয়।
প্রচলিত কিছু ভালো সাথী ফসলের জোড়া:
ভুট্টা+মুগডাল: ভুট্টা দাঁড়িয়ে থাকে, মুগডাল নিচে বিছিয়ে জমি ঢেকে রাখে।
আখ+তিল/শাকসবজি: আখের ফাঁকে তিল বা শাক চাষে বাড়তি আয়
ধান+আলু/পিঁয়াজ/রসুন:  এক জমিতে দুই ফসলের ফলন
পাট+মুগডাল:  মুগডাল মাটিতে নাইট্রোজেন যোগায়, পাট ভালো হয়
আমবাগান+সবজি/ডাল ফসল:  বাগানের ফাঁকা জায়গা কাজে লাগে
চাষের সময় আমাদের যা মনে রাখা প্রয়োজন:
★ সাথী ফসল যেন একে অপরের ক্ষতি না করে
ফসলের পানি, আলো, পুষ্টি চাহিদা আলাদা হলে ভালো হয়
★ জমি ও মৌসুম অনুযায়ী আমাদের ফসল বাছাই করতে হবে
★ এক ফসল তোলা হলে অন্যটা যেন বেড়ে উঠতে পারে
সাথী ফসল চাষাবাদে কৃষকের লাভ:
★ একই জমিতে দুই ফসল, তাই দ্বিগুণ আয়।
★ সার ও শ্রমিক খরচ বাঁচে
★ জমির উর্বরতা বাড়ে।
★ এক ফসল নষ্ট হলেও পুরো ক্ষতি হয় না।
সাথী ফসল চাষ হলো বুদ্ধিদীপ্ত কৃষি ব্যবস্থা। এতে জমি অপচয় হয় না, খরচ কমে, আয় বাড়ে। সঠিক পরিকল্পনায় করলে সারা বছর জমি ব্যস্ত রাখা যায়, কৃষকও থাকে নিশ্চিন্ত ও লাভবান।
লেখক:
কৃষি লেখক ও কথক,বাংলাদেশ বেতার
উপদেষ্টা, দৈনিক গ্রামীণ কৃষিও সংবাদ প্রতিক্ষণ
সভাপতি, বাংলাদেশ পেশাজীবী ফেডারেশন
সাধারণ সম্পাদক: আমরা পল্লবী বাসী,ঢাকা।

কৃষকের সাথী ফসল : লাভজনক প্রযুক্তি 

ওমান প্রতিনিধি::

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের রাজধানী মাস্কাটে নির্মাণাধীন দেওয়াল ধ্বসে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির এলাকার মোহাম্মদ আইয়ুব আলীর (৫০) মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের সয়ম ১১ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওমানের মাস্কাটের মুবেলা আবাসিক এলাকায় একটি নির্মাণাধীন দেওয়াল কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে দেওয়াল নির্মাণের কাজ করছিলেন। এক সময় দেওয়ালটি ধ্বসে

পড়ে। বড় ছেলে মোহাম্মদ তারেক ও চাচাত ভাই মোহাম্মদ জাফর সাথে ছিলেন। অন্যান্য লোকজন সরে যেতে পারলেও আইয়ুব দেওয়ালে চাপা পড়েন।
হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়ার মূহুর্তে তিনি শেষ নিঃশেষ ত্যাগ করেছেন বলে জানান সহকর্মীরা।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভার উত্তর ধুরুং গ্রামের সৈয়দ আহাম্মদ হাজীর বাড়ির মোহাম্মদ রমজান আলীর ছেলে। তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক, দীর্ঘদিন ধরে ওমান কর্মজীবন ছিলেন।

এদিকে শনিবার দুপুরের দিকে খবরটি গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে পরিবারে মধ্যে শোকে অন্ধকারাচ্ছন্ন শুরু হয়।
আত্মীয়স্বজনরা গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসতে থাকেন। ওমান থেকে লাশ দেশে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিহতের ছোট ভাই লিয়াকত আলী।

ওমানে দেওয়াল ধ্বসে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি,ভোলা::
শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০% বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের ৭৫% উৎসব ভাতা প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে ১২ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভূক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ জোট (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা) এর আয়োজনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে লালমোহন থেকে দুই শতাধিকের অধিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক লালমোহন থেকে লঞ্চ যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে গতকাল রওয়ানা হয়েছে।

লালমোহন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ দীর্ঘদিন থেকে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। অথচ কারিকুলাম ও পাঠ্যবই একই । কিন্তু সুযোগ সুবিধা থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার। আমরা আর বৈষম্যের শিকার হতে চাই না। এজন্য গত মাসের ১২ তারিখ ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ আন্দোলন করার প্রেক্ষিতে মাননীয় শিক্ষা উপদেস্টার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২০% বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের ৭৫% উৎসব ভাতা দেয়া হবে। কিন্তু শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করে গত ৫ আগস্ট বিশ্ব শিক্ষক দিবসে হঠাৎ ৫শ টাকা বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এমপিওভূক্ত শিক্ষকগণ তা ঘৃনা ভরে প্রত্যাখ্যান করে।

এরপর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা ১২ অক্টোবর ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য লালমোহন থেকে আমরা দুইশত এর অধিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক আজ শনিবার লঞ্চ যোগে রওয়ানা হয়েছি। শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবো।

ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচীতে লালমোহন থেকে যাচ্ছে ২ শতাধিক শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিনিধি,ভোলা::
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে জেলেদের মধ্যে ভিজিএফ খাদ্যশস্য বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ভিন্নধর্মী ও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসন। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পক্ষিয়া, গংগাপুর, টবগী ইউনিয়ন সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদে তালিকাভুক্ত জেলেদের নাম প্রকাশ্যে ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে কোন জেলে ভিজিএফ খাদ্যশস্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বা কে বাদ পড়েছেন-তা সবাই সহজে জানতে পারছেন। স্থানীয়দের মতে, এতে করে আগের মতো তালিকা নিয়ে ভিড় করা বা হয়রানির ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।

টবগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হাওলাদার এই পদক্ষেপের বিষয়ে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান উজ্জামান স্যারের নির্দেশে আমরা প্রথমবারের মতো জেলেদের তালিকা প্রকাশ্যে টানিয়ে দিয়েছি। যেন কেউ বাড়তি ভিড় করে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসনের এই কার্যক্রমের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিতরণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় জেলেরা। তাদের মতে, এর ফলে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক উপায়ে প্রকৃত জেলেরাই সহায়তা পাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে জেলেদের জীবনযাত্রা নির্বাহে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এই ভিজিএফ খাদ্যশস্য বিতরণ করা হচ্ছে। এ সময় বোরহানউদ্দিন উপজেলার মোট ১৯,৩৫০ জেলে পরিবারের জন্য পরিবার প্রতি ২৫ কেজি হারে মোট ৪৮৩.৭৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তালিকায় বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় ৮০০, গংগাপুর ইউপি ২৫২০, সাচড়া ইউপি ১৪৬০, দেউলা ইউপি ৮০০, কাচিয়া ইউপি ১৬৭০, হাসাননগর ইউপি ২৮৭০, টবগী ইউপি ২৫৬০, পক্ষিয়া ইউপি ১৮৭০, বড়মানিকা ইউপি ৩৪৫০, কুতুবা ইউপি ১৭৫০ জেলে রয়েছে। সর্বমোট ১৯,৩৫০ জেলের জন্য ৪৮৩.৭৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক উপায়ে খাদ্যশস্য বিতরণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় জেলেরা।

বোরহানউদ্দিনে জেলেদের ভিজিএফ’র তালিকা প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিনিধি,ভোলা::

ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ মনিরুল ইসলাম বলেছেন, টাইফয়েড টিকা গ্রহণের পর অন্যান্য টিকার মতোই সামান্য প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন-টিকা দেওয়ার স্থানে লালচে ভাব, হালকা ব্যথা, মৃদু জ্বর বা ক্লান্তি। এগুলো অল্প সময়েই সেরে যায়, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সিভিল সার্জনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডাঃ মনিরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুরাই টাইফয়েড জ্বরে বেশি আক্রান্ত হয়। ২০২১ সালে প্রায় ৮ হাজার মানুষ টাইফয়েডে মারা যায়, যার মধ্যে ৬৮ শতাংশই শিশু। বর্তমানে টাইফয়েডের প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের অনেকগুলো আর কার্যকর নয়, ফলে ওষুধ-প্রতিরোধী টাইফয়েডের ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় টিকা গ্রহণে সংক্রমণ কমবে, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারও হ্রাস পাবে।

তিনি আরো বলেন, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে মাসব্যাপী ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫’ শুরু হবে। এই ধারাবাহিকতায় ভোলা জেলায় মোট ৩ হাজার ৯ শত ৬০টি কেন্দ্রে প্রায় ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৭ শত ৭৮ শিশুকে এক ডোজ কার্যকর টাইফয়েড টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হবে। যার মধ্যে ২ হাজার ৬শত ৮৭টি স্কুলের ৪ লাখ ২৭ হাজার ৮ শত ৫৮ জন শিশু-কিশোর এবং যারা স্কুলগামী নয় এমন কমিউনিটির ২ লাখ ৫০ হাজার ৯ শত ২০ জনকে এই টিকা দেওয়া হবে। এই টিকাদান কর্মসূচি ১৮ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। প্রথম ১০দিন স্কুল ক্যাম্পেইন এবং পরবর্তী ৮ দিন কমিউনিটির বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীগণ টিকা দিবেন। ইতোমধ্যে আমরা ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬ শত ৪০টি টিকার ডোজ হাতে পেয়েছি বাকি টিকার ডোজগুলো খুব শিগগিরই পেয়ে যাবো।

টিকাদান কার্যক্রম সফল করতে বিভিন্ন দপ্তর, স্কুল, মাদ্রাসা ও এনজিও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় সুবিধাবঞ্চিত, বেদে, এতিমখানা ও পথশিশুদেরও টিকার আওতায় আনা হবে। তবে ৯ মাসের কম বা ১৫ বছরের বেশি বয়সের কাউকে এই টিকা দেওয়া হবে না। যেসব বাচ্চারা অসুস্থ বা জ্বরে আক্রান্ত থাকবে তাদেরকে টিকা দেওয়া হবে না, তবে সুস্থ হওয়ার পর টিকা দেওয়া হবে। এছাড়াও কোন গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী মাকে এই টিকা দেওয়া হবে না।

ডা. মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ইপিআই ব্যবস্থায় দেওয়া এই টাইফয়েড টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ও নিরাপদ। এটি কনজুগেট ভ্যাকসিন হওয়ায় আরও কার্যকর এবং পরীক্ষামূলক নয়। সরকার দেশের শিশুদের নিরাপদ টিকা প্রদানে সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। সামান্যতম ঝুঁকি থাকলে সরকার কখনো সেই টিকা প্রয়োগ করত না। তিনি জানান, টিকা নেওয়ার সময় কিছু কিশোর-কিশোরীর অজ্ঞান হয়ে পড়া বা অসুস্থতার বিষয়টি ‘ম্যাস সাইকোজেনিক ইলনেস’ যা মানসিক ভীতি বা গুজবজনিত প্রতিক্রিয়া। এর সঙ্গে টিকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও যোগ করেন, এই টিকায় শরীয়তবিরোধী কোনো উপাদান নেই। এটি সৌদি হালাল সেন্টার কর্তৃক হালাল সনদপ্রাপ্ত এবং এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ।

সংবাদ সম্মেলনে দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক শওকাত হোসেন, ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শরীফ আহমেদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডাঃ মোহাম্মদ খায়েম ফারুকীসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, VaxEPI.gov.bd ওয়েবসাইটে ১৭ সংখ্যার জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে সহজেই টাইফয়েড টিকার জন্য নিবন্ধন করা যাবে। যাদের জন্মনিবন্ধন নেই তাদেরও ম্যানুয়ালি নিবন্ধনের মাধ্যমে (বিশেষ ব্যবস্থায়) টিকা দেওয়া হবে।

ভোলায় টাইফয়েড টিকা পাবে ৬ লাখ ৭৮ হাজার শিশু

খুঁজুন

খেলাধুলা

অন্যান্য সংবাদ

লাইফস্টাইল

অন্যান্য সংবাদ

শিক্ষা